মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

কোন ধরনের ঘোষ তদবির ছাড়াই নেত্রকোনায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ হয়েছে

ঘুষ ছাড়াই পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ হয়েছে নেত্রকোনা জেলায় খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে অভিভাবকরা;

আজকের তাজা খবর ডেস্ক: ভোর রাত তিনটা। কুয়াশা ঢাকা নেত্রকোনা শহরের কুড়পার পুলিশ লাইন্সের মাঠ যেন পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। কেউ কেউ চিৎকার করছেন। কেউবা তার স্বজনদের কাছে ফোন দিয়ে বলছেন হয়ে গেছি।


এমন দৃশ্যে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ হয়ে ওঠে অন্যরকম অনুভূতির।

কোনো রকমের ঘুষ এবং তদবির ছাড়াই এবার নেত্রকোনায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে চাকরি পেয়ে খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিভাবকরাও। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হয় সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নেত্রকোনা কুড়পার পুলিশ লাইন্সে।

ঠিক ঘড়ির কাটায় তিনটা বাজে।

তাবুর নিচে থেকে ভেসে আসে সজিব মিয়ার নাম। সাথে সাথেই এমন এক অন্যরকম চিৎকার কানে ভেসে আসে সবার। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী নামগুলো একের পর এক ঘোষণা করে যাচ্ছেন। একে একে ৪৭ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

এর মধ্যে সাতজন নারী এবং ৪০ জন পুরুষ। সাথে ছিলেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি ও শেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক।

পুলিশ সুপার জানান, জেলায় ১৮৮০টি আবেদন করে পুলিশ কনস্টেবল পদে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ৪৫০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৪৯ জন।

তাদের মধ্যে মোট ৪৭ জন নিয়োগ পেয়েছেন।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, তিনি এমন একটি স্বচ্ছ নিয়োগে থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করতে পেরে নিজেও অনেক গর্বিত মনে করেন। বলেন আমরা জনগণের সেবক। আজ যারা নিজেদের যোগ্যতায় পুলিশে এসেছে আজ থেকেই তারাও শপথ নিতে হবে জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার।

দিন মজুর ইনছান মিয়াকে ছেলেকে দাঁড় করিয়েছিলেন পুলিশে। এভাবে তার ছেলের চকরি হয়ে যাবে তিনি নিজেও ভাবেননি কখনো। খুশিতে যেন গড়িয়ে পড়ছিল তার চোখের পানি।  

চাকরি পেয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ফারজানা আক্তার বলেন, শুধু বাবা-মা নয়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রাখবো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন